নিজেদের মাঠেই ভারতের পেস আক্রমণ সামলাতে ঘাম ঝরলো ইংল্যান্ডের। নটিংহ্যামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই ১৮৩ রানে গুটিয়ে গেছে জোরুটের দল। জবাবে বিনা উইকেটে ২১ রান তুলেছে ভারত।
অথচ টস ভাগ্য ইংল্যান্ডের পক্ষেই ছিল। ব্যাটিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক রুট। প্রথমেই ধাক্কা। ইনিংসের ৫ বল যেতেই ররি বার্নস (০) হন জাসপ্রিত বুমরাহর এলবিডব্লিউয়ের শিকার।
শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ২০ ওভারের মতো ব্যাটিং করে ৪২ রানের একটি জুটি গড়েন ডম সিবলি আর জ্যাক ক্রলি। তারপর মোহাম্মদ সিরাজের আঘাত। ডানহাতি এই পেসার উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ক্রলিকে (২৭)। ২ উইকেটে ৬১ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আরেকটি উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ শামিকে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ হন সিবলি (১৮)। তাতে ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের।
সেখান থেকে রুট আর জনি বেয়ারস্টোর ৭২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত সেশনের শেষ ওভারে এসে জুটিটি ভাঙেন শামিই। জনি বেয়ারস্টোর বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হলে আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় ভারত।
৪ উইকেটে ১৩৮ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়া ইংল্যান্ড তৃতীয় সেশনে আর দাঁড়াতে পারেনি। মাত্র ৪৫ রান যোগ করতে হারায় বাকি ৬ উইকেট। ড্যান লরেন্স, জস বাটলার দুজনই ফেরেন শূন্যতে।
একটা প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে সাজঘরের পথ দেখান শার্দুল ঠাকুর। ১০৮ বল মোকাবেলায় ১১ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করে রুট হন এলবিডব্লিউ। শেষদিকে স্যাম কুরান অপরাজিত ২৭ রান করলেও ১৮৩ রানের বেশি যেতে পারেনি ইংল্যান্ড।
ভারতের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন বুমরাহ। ৪৬ রানে ৪টি উইকেট নেন এই পেসার। ২৮ রানে ৩ উইকেট শামির। শার্দুল ২টি আর সিরাজের শিকার ১ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শেষ বিকেলে ১৩ ওভার অনায়াসেই কাটিয়ে দিয়েছেন রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুল। বিনা উইকেটে ২১ রান তুলেছে ভারত। রোহিত-রাহুল দুজনই অপরাজিত ৯ রানে।