পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীমনি-জিমি
ফাইল ছবি

মাদকসহ গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার এবং তার অনেক অনৈতিক কাজের সহযোগী জুনায়েদ করিম জিমিকে এবার আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিমিকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

জিমিকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।

এর আগে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পান্থপথ থেকে আটক হন চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তাকেও গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা পরীমনি জিজ্ঞাসাবাদে তার বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে চয়নিকা চৌধুরী ও জিমির সম্পৃক্ততার কথা জানান। এজন্য তাদের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

পরীমনির অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ার পেছনে অন্যতম সাহায্যকারী এই জিমি। যাকে নিয়ে রাত-বিরাতে বিভিন্ন ক্লাবের পার্টিতে পরীমনিকে অংশ নিতে দেখা গেছে। জিমি পরীমনির সঙ্গে সঙ্গী হয়ে অনেক দেশ ঘুরতে যেতেন। তার সঙ্গে বিত্তবানরা থাকত। বিনিময়ে জিমি তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। পরীমনির এই অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ার পেছনে অন্যতম সাহায্যকারী তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি।

মডেলিং ও সিনেমায় অভিনয় করার পাশাপাশি পরীমনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে সেখানে ব্যবসায়ীদের দাওয়াত দিয়ে টাকা নিতেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘুরতে গিয়ে একজনের মাধ্যমে আরেকজনের পরিচয় হতো। একই পন্থায় তাদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।

দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীমনির অন্যতম সহযোগী ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ অন্য যারা অবৈধ কাজ ব্যবসায় জড়িত তাদের শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পরীমনি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতেন, কাদের সহযোগিতায় করতেন, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে।’

পরীমনির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে, জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পরীমনি একজন চিত্রনায়িকা। তিনি এর আড়ালে যে খারাপ ব্যবসাগুলো করতেন এবং এ ব্যবসাগুলোতে কারা তাকে পেট্রোনাইজ করেছেন, এ কথাগুলো তিনিও স্বীকার করেছেন। আমরাও নজরদারি করছি। ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণির সঙ্গে জিমি নামের এক তরুণ গিয়েছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব।’

শেয়ার করুন