২০৩০ সালের মধ্যে ৫৭ দেশ বন্যায় ভাসবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা
ছবি : ইন্টারনেট

জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ব। সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানি থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বহু দেশ বন্যাকবলিত হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। গবেষণা বলছে, আরও ভয়াবহ রূপ দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছে বন্যা। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষকে বন্যার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হবে।

বন্যার এমন ঝুঁকির ক্ষেত্রে সংবেদনশীল অবস্থানে রয়েছে কমপক্ষে ৫৭টি দেশ। জলবায়ুবিষয়ক নেদারল্যান্ডসের ন্যাচার টুডে জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ৯১৩টি দৈনিক স্যাটেলাইট তথ্য পর্যালোচনা করে সমীক্ষার এ ফল জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, এসময়ের মধ্যে ২৫ কোটি থেকে ২৯ কোটি মানুষ সরাসরি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গবেষকরা আরও দেখেছেন, এসব অঞ্চলে জনসংখ্যা ৩৪.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মোট বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ১৮.৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগামী দশক থেকেই আশঙ্কা করা অনুমানের তুলনায় দশগুণ বেশি মানুষ বন্যার হুমকিতে পড়বে। তাদের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে বন্যাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে ২০ থেকে ২৪ শতাংশ।

সমীক্ষায় বলা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বন্যার কারণে ৬১ হাজার ৫০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হলেও বন্যা প্রস্তুতি ও প্রশমনের জন্য দুর্যোগ তহবিলের মাত্র ১৩ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন বিশ্লেষণে অতি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ছাড়াও বাঁধ ভেঙে যাওয়া এবং তুষার গলে যাওয়াকেও বন্যা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পূর্বাভাস বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বন্যাকবলিত মানুষের অনুপাত আরও বেড়ে যাবে। গবেষণার লেখকরা ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন। বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা, মধ্য এশিয়া এবং মধ্য আফ্রিকাসহ কমপক্ষে ৫৭ দেশে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং তারা বন্যায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

বন্যাপ্রবণ এই দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ২৫ দেশের নাম। আর আগে থেকেই বন্যাপ্রবণ ছিল ৩২ দেশ। ২০১৭ সালে হারিকেন হার্ভে যখন টেক্সাসে আঘাত হেনেছিল, তখন প্রায় ৮০ হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছিল। পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে আগে থেকেই এলাকার মানুষগুলোকে সরিয়ে নেওয়া যেত।

বিপজ্জনক তাপমাত্রা চোখ রাঙাচ্ছে বেইজিংকে

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পূর্ব এশিয়ার গ্রিন পিসের এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলের শহরগুলোতে তাপমাত্রা যেভাবে বেড়ে চলেছে-সামনের বছরগুলোতে এসব দেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং কৃষি খাত মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বেইজিং। চীনের ২৮, জাপানের ২১ এবং কোরিয়ার আটটি শহরের তাপমাত্রার ওপর নিরীক্ষা করে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছে গ্রিন পিস। এতে বলা হয়-চীন, কোরিয়া এবং জাপানের তাপমাত্রা বেড়েছে ৮০ শতাংশ।

পূর্ব এশিয়ার গ্রিনপিসের জরুরি জলবায়ু ব্যবস্থাপক মিকিয়াং কিম বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রবাহমান তাপমাত্রায় ধকল সয়েছে টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারীরা।

শেয়ার করুন