মাদক ও পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তারের জেরে বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব থেকে শুক্রবার প্রযোজক নজরুল রাজের পদ স্থগিত করেন সংগঠনটির সভাপতি চিত্রনায়ক ওমর সানী। এবার চিত্রনায়িকা পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
আজ শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন সমিতির সভাপতি খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। এফডিসিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মিশা বলেন, পরীমনির ঘটনায় আমাদের চলচ্চিত্র তথা শিল্পী সমাজ বিব্রত। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। পরী বিরুদ্ধে মামলা চলমান। তাই আমরা পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করলাম।
মিশা এও জানান, সংবাদ সম্মেলনের আগে কেবিনেট মিটিংয়ে পরীমনির ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সমিতির সকল সদস্যের মতামত নেওয়া হয়েছে বলেও অভিনেতা উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি মিশা সওদাগর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহ-সভাপতি ডিপজল ও রুবেল। এছাড়া কার্যকরী কমিটি থেকে উপস্থিত ছিলেন অরুণা বিশ্বাস, অঞ্জনা সুলতানা, আলেকজান্ডার বো, জ্যাকি আলমগীর ও আলীরাজ।
গত বুধবার বিকালে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে নায়িকার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে পরীমনিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে।
পরবর্তীতে আলোচিত-সমালোচিত এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমাণ্ডে রয়েছেন।
এর আগে গত জুনে বোট ক্লাবের ঘটনা নিয়ে পরীমনির সমালোচনা করেছিল শিল্পী সমিতি। সমিতির পক্ষে সভাপতি মিশা সওদাগর সামাজিক মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে বলেছিলেন, মধ্যরাতে পরীমনির ওভাবে ক্লাবে যাওয়া উচিত হয়নি। এছাড়া কয়েকজন চলচ্চিত্র পরিচালকও নায়িকার সমালোচনা করেছিলেন।
এরপর পরীমনির বিরুদ্ধে গুলশান ও বনানীর দুটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে একটি ক্লাবে ভাঙচুরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়া বোট ক্লাবে ঘটনার দিন রাতেও তিনি একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।