করোনায় আরও ২৪১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০২৯৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২ হাজার ৬৫২ জনে। একই সময়ে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ২৯৯ জনের দেহে। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ হাজার ২৯৯ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ২৪.৫২ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৯৫ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬.৬৮ শতাংশ।

universel cardiac hospital

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১২৮ জন পুরুষ এবং ১১৩ জন নারী।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৯ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৬২৭ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৫ হাজার ৬২৬ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।

শেয়ার করুন