বাংলাদেশ সফরে আসতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ক্রিকেটের স্বার্থে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব শর্ত বিনা দ্বিধায় মেনে নেয়। সেভাবেই পুরো টুর্নামেন্টটি শেষ হয়েছে। অনেক শর্তের একটি ছিল পুরো সিরিজেই ‘স্পর্শহীন’ থাকবেন তারা। সেই হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ‘হ্যান্ডশেক’ পর্যন্ত করেননি ম্যাথু ওয়েডরা! দূর থেকে হাততালিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে।
আজ (সোমবার) শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা একটি প্রশ্ন রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই একই হোটেলে একই জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ছিল। কিন্তু তারপরও স্পর্শ এড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মেলায়নি তারা। ম্যাচ শেষে দুই দলের করমর্দন সাধারণ একটি ভদ্রতা হিসেবে পরিগণিত হয়। কিন্তু এই সিরিজে তেমনটা দেখা যায়নি। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিও তুললেন।
পুরো দলকে অভিনন্দন জানানো শেষে নিজের ফেসবুক পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, শুধু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটা প্রশ্ন- পরবর্তী সিরিজে আপনারা কি ম্যাচের পর হাত মেলাবেন নাকি এ রকমই থাকবেন? এ রকম থাকলে অনেক ভালো লাগবে, কারণ তাহলে সবার সঙ্গেই একরকম আচরণ হবে। তবে অবশ্যই আপনাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য, কারণ আপনারা এ কঠিন সময়ে খেলতে এসেছেন এবং আমাদের বিনোদন দিয়েছেন। পরের সিরিজের জন্য আপনাদের শুভকামনা জানাই।
অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে অবশ্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে মাশরাফি অনুপ্রেরণামূলক কথা লিখেছেন, সাকিব এরকমই ৩০-এর উত্তর দেয় ম্যান অব দ্য ম্যাচ দিয়ে। সাইফউদ্দিন প্রমাণ করে সাদা বলের বোলিং ধারালো অনেকটা। আফিফের ফেয়ারলেস মনোভাব। সোহানের প্রাণবন্ত কিপিং, মোস্তাফিজ আবার দুঃস্বপ্ন সবার কাছে। রিয়াদের দারুণ প্লানিং। পুরো টিমকে অভিনন্দন।
পোস্টের একদম শেষে নিউজিল্যান্ডকে সাবধান করে দিয়েছেন মাশরাফি। আগামী ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসছে নিউজিল্যান্ড দল। মাশরাফি লিখেছেন, এরপর যারা যারা আইতাছো বাংলাদেশ ট্যুরে, উইকেটের জন্য কয়েকটা তাবিজ লাগায় আইসো। বাংলাদেশ, নামটা এখন পরিচিত।