আগামী সপ্তাহে ইনসেপটা-সিনোফার্ম যৌথ টিকা তৈরির চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনসেপ্টা-সিনোফার্ম

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি দেশে যৌথভাবে উৎপাদনের চেষ্টাও চলছিল। কয়েক মাস আলোচনার পর দেশীয় কোম্পানি ইনসেপটার সঙ্গে চীনের সিনোফার্মের এই চুক্তি হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকায় এই চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

universel cardiac hospital

বুধবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বলেন, ‘টিকার যৌথ উৎপাদনের চুক্তি আগামী সপ্তাহে সই হবে।’

দুই মাসের ভেতরে উৎপাদন শুরু হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ভর করবে ইনসেপটার দক্ষতার ওপরে এবং সিনোফার্ম কত দ্রুত এখানে কাজ শুরু করে।’

রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আটকে নেই, তবে তাদের সেখানে থার্ড ওয়েভ চলছে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এছাড়া আমরা চাচ্ছি একসঙ্গে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ, তবে বল ইজ ইন দেয়ার কোর্ট। আমাদের পক্ষ থেকে চুক্তির খসড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমরা এখন তাদের চূড়ান্ত সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছি।’

দেশে টিকার জন্য খুব তাড়াহুড়ো না থাকলে, তবে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি জানান।

ভারত পরিস্থিতি

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন জানান, ভারতের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ চালু নিয়ে দুই পক্ষ সম্মত আছে এবং দ্রুতই এটি চালু হবে।

কবে নাগাদ ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘১৬-১৭ আগস্টের আগে হবে বলে মনে হয় না।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটক ছাড়া অন্যান্য ক্যাটাগরি যেমন- মেডিক্যাল, অফিশিয়াল ভিসা চালু করতে চাই। এছাড়া আমরা আরও বলে দেবো— দূতাবাস যদি মনে করে কারও আসা দরকার, তবে সে বিষয়টিও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

সীমান্ত বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘এটা আমরা আরও ১৪ দিন বাড়িয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমরা বলেছি, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পার হয়ে গেলে টিকা গ্রহীতাকে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।’

‘আমরা আরও সুপারিশ তৈরি করছি, সীমান্ত সম্পূর্ণ খুলে দেওয়ার জন্য। ভারতে এখন কোভিড রোগী শনাক্তের হার কম আছে। কিন্তু আমাদের এখানে বেশি’, বলে তিনি জানান।

পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘যদি আমাদের এখানে হার কম হতো, তবে নমনীয় পন্থা অবলম্বন করতে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।’

শেয়ার করুন