চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা শিথিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ফাইল ছবি

করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ২১ মাস ছাড় দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। সেক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। গত বছর ২৫ মার্চ থেকে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়েছে, তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য বয়স শিথিল করেছিলাম। আবার নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে সেই বিষয়ে আমরা বলতে পারব। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে চাকরিপ্রার্থীরা একটা ছাড় পাবে। গত বছরের ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তারা এই ছাড়ের আওতায় আসবে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। ওই বছরের ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন।

সংক্রমণ ফের উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন দেয় সরকার। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। কয়েক দফায় শিথিলতাও আনা হয় বিধিনিষেধে। শেষে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। গত ৫ আগস্ট থেকে আরও ৫ দিন সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হয় গত মঙ্গলবার।

করোনার কারণে দেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগপ্রত্যাশীরা বিপাকে পড়েন। পরীক্ষা বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কম থাকায় অনেকের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় শেষ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতি তাদের বয়সে কিছুটা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা ২১ মাস পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবে। এটা একটা বড় সহযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে আমরা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব। আমরা এটি সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়ে দেব। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা যেসব বিজ্ঞাপন দেবে সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করবে, যাদের বয়স ২৫ মার্চ ৩০ বছর হয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।

শেয়ার করুন