অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে চীনের আগ্রাসী কৌশল মোকাবিলায় আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত বুধবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটির ভারতীয় অংশে টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে চায়।
প্রস্তাবিত টানেলটি নির্মিত হবে ব্রহ্মপুত্র নদীর উজানে মিসা থেকে তেজপুরের মধ্যে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১২ থেকে ১৫শ’ কিলোমিটার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অরুণাচল প্রদেশের আন্তর্জাতিক সীমানায় চীনের পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন সড়ক থাকলেও ভারতের কেবল একটি সড়ক রয়েছে।
আসামের রাজ্যসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে অরুণাচল গিয়েছিলাম। ভারতীয় সেনাবাহিনী অরুণাচল প্রদেশ-চীন সীমান্ত সংযুক্ত করতে আরেকটি রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। আলোচনার ভিত্তিতে আমি বলতে চাই, ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন ব্রহ্মপুত্রের নিচ দিয়ে মিসা থেকে তেজপুর পর্যন্ত একটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যাতে কোনও অবস্থাতেই সামরিক যানের চলাচল বিঘ্নিত না হয়।
প্রস্তাবিত টানেল নির্মাণে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি রুপি খরচ হবে জানিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আমাদের কাছে এটা কোনও বিস্ময় নয়। কারণ, জম্মুতে নির্মিত হয়েছে অটল টানেল। প্রধান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বিপিন রাওয়াত আমাকে বলেছেন যে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রকল্পটি নিয়ে কথা বলবেন আর আমাকেও রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। এটা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রাধিকার প্রকল্প।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আগামী দিনে আসাম সরকার বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এরমধ্যে থাকবে কাজিরাঙ্গায় একটি এলিভেটেড করিডোর, পলাশবাড়ি ও শিয়ালকুচিকে সংযুক্ত করে ব্রহ্মপুত্রের ওপর একটি সেতু এবং বরাক উপত্যকাকে সংযুক্তকারী একটি এলিভেটেড করিডোর। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্যদের সহায়তা চান মুখ্যমন্ত্রী।