অক্টোবরে বঙ্গভ্যাক্সের হিউম্যান ট্রায়াল করতে চায় গ্লোব বায়োটেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গভ্যাক্স

বানরের ওপর প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়ায় বাংলাদেশে উৎপাদিত করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্স আগামী অক্টোবরে মানবদেহে প্রয়োগ করতে চায় গ্লোব বায়োটেক। শনিবার প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বানরের ওপর ট্রায়াল শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে আমাদের হিউম্যান ট্রায়াল বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। বানরের ওপর আমাদের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি। ইঁদুরের ওপর ৯৫ শতাংশের ওপর কার্যকর ছিল, আমাদের ধারণা বানরের ওপরও ভালো ফলাফল পাব। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) জানিয়েছে, মানবদেহে প্রয়োগের আগে বানরের দেহে ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হবে। তারা শর্ত দিয়েছিল আগে বানরেরটা করতে হবে। সেটার রিপোর্ট জমা দিলেই তারা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দেবে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আগস্ট মাসে ৫৬টি বানরের ওপর অ্যানিমেল ট্রায়াল শুরু হয়।

universel cardiac hospital

এর আগে গত ২৬ জুলাই গ্লোব বায়োটেক উদ্ভাবিত টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিতে স্বাস্থ্যসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান রেজিস্ট্রি ডাক ও সংশ্লিষ্টদের ই-মেইলে নোটিশটি পাঠান।

নোটিশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে প্রয়োগ করে তা পরীক্ষা করার শর্ত দিয়ে গ্লোব বায়োটেককে দেয়া বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চিঠি প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। নোটিশটি স্বাস্থ্যসচিব ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএমআরসি পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়।

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদনের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবেদন জমা দেয়া হয়। পরে বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী, তথ্য-উপাত্ত যোগ করে ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত আবেদন জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক।

শেয়ার করুন