ছুটিতে বাংলাদেশে এসে করোনার কারণে আটকে পড়াদের মালয়েশিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। সরকারের সব শর্ত মেনে যেকোনো মূল্যে কর্মস্থলে যেতে চান তারা।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর বারিধারার ৬ নম্বর রোডে মালয়েশিয়া দূতাবাসের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানান ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। সকাল ১০টা থেকে শতাধিক প্রবাসী মালয়েশিয়া দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কর্মস্থলে ফেরার আকুতি জানান।
ভুক্তভোগী প্রবাসীদের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ছুটিতে কেউ এক সপ্তাহ, কেউ এক মাস, কেউ আবার তিন মাসের জন্য ২০২০ সালে বাংলাদেশে আসি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মালয়েশিয়াতে যাওয়া আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তাই আর কাজে ফিরতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমরা টিকা নিয়েছি। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকব, এমনকি মালয়েশিয়ার ও বাংলাদেশ সরকারের সব শর্ত মেনে কাজ করব। তারপরও আমরা কাজে ফিরতে চাই।
এনামুল হক নামের এক প্রবাসী বলেন, মালয়েশিয়ায় লাখ টাকা বেতনের চাকরি করেও এখন আমরা বেকার। পরিবার নিয়ে চলতে পারছি না। করোনা পরবর্তী সময়ে সৌদি আরব ও কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা কাজ শুরু করেছেন। আমরাও অন্য প্রবাসীদের মতো মালয়েশিয়ায় কাজে যোগ দিতে চাই।
মালয়েশিয়ার মালায় অ্যাপামোসা রিসোর্টের কর্মী কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালের রিএন্ট্রি ভিসায় জানুয়ারির ৬ তারিখ ঢাকায় এসেছি। ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল রাত ২টার ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আটকা পড়ে পড়ে আছি।
তিনি বলেন, আমি এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ‘মাই ট্রাভেল পাস’ সংগ্রহ করেছি। কিন্তু যেতে পারছি না।
১৫ দিনের ছুটিতে এসে আটকা পড়া রাশেদুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের দেড় বছর পরও মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারছেন না। তিনি ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, আমি রিএন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে যেকোনো শর্তে মালয়েশিয়া যেতে চাই। কাজ করে আমার পরিবারকে বাঁচাতে চাই।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের কারণে সব দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়। পরে ধীরে ধীরে অনেক দেশ ফ্লাইট চালু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এখনও ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি মালয়েশিয়া।