ক্রেতাদের কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ৫৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সম্পদ থাকার তথ্য জানিয়েছে ইভ্যালি।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, মার্চেন্টদের কাছে দেনার তথ্য দিতে ইভ্যালিকে তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তারা প্রথম ধাপের ব্যালেন্স শিট জমা দিয়েছে। সেখানে তাদের দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বাকি দুই ধাপে তাদের তথ্য পেলে আমরা আবার বসব।
হাফিজুর রহমান আরও জানান, ইভ্যালি তাদের সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখিয়েছে ৪২২ কোটি টাকা। সেভাবেই তারা তাদের ব্যালেন্স শিট মিলিয়েছে।
জানা গেছে, ইভ্যালির ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার দেনার বিপরীতে ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অদৃশ্য সম্পদ দেখানো হয় ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং দৃশ্যমান সম্পদের হিসাব দেখানো হয়েছে ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা।
এর আগে ১৯ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির সম্পদ ও দায় বিবরণী সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক জবাব চেয়ে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিন সপ্তাহ সময়ের বিভাজন করা হয়েছে তিনভাবে। ক্রেতাদের কাছে ইভ্যালির দায় কত, তা জানাতে হবে সাতদিনের মধ্যে; মার্চেন্টদের কাছে দায় কত, তা জানাতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে; আর সম্পদ ও দায় কত আছে, তা জানাতে হবে তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে।