গত ১৯ আগস্ট থেকে বরিশাল নগরীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা বন্ধ করে দিয়েছেন পরিছন্নতা কর্মীরা। এতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় স্তূপাকারে পড়ে থাকা ময়লার কারণে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে না বাসাবাড়ির ময়লাও। এদিকে এ সমস্যা সমাধানের কোনও পথও মিলছে না। এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান নগরীর একাধিক বাসিন্দা।
নগরীর সিএনবি রোডে বাসিন্দা নাজমুন নাহার বলেন, ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনার রাতে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের কিছু সামনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এক ট্রাক ময়লা ফেলা হয়। সেই ময়লা শনিবার পর্যন্ত সরানো হয়নি। এতে ওই স্থান থেকে মানুষজনের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্গন্ধময় নগরীতে পরিণত হয়েছে বরিশাল।
চৌমাথা বাজারের ব্যবসায়ী ফিরোজ মাঝি বলেন, সেদিন রাত থেকে এই এলাকার ময়লা নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। এর আগে প্রতি রাতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি এসে বাজার পরিষ্কার থেকে শুরু করে এই এলাকার ময়লা নিয়ে যেত।
নগরীর পোর্টরোড, বাজার রোড, নতুন বাজার ও সাগরদী বাজার এলাকার অবস্থাও একই। সেখানকার ময়লাও পরিষ্কার হচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা পড়েছেন দুর্ভোগে। দুর্গন্ধের মধ্যেই সেখানে চলছে বেচাকেনা।
বটতলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম সিয়াম বলেন, ১৯ তারিখ থেকে এই এলাকার ময়লা পরিষ্কার করছে না সিটি করপোরেশন। তার মতে পুরো নগরবাসী এখন সিটি করপোরেশনের কাছে জিম্মি। তবে শনিবার সকালে বিসিসির কর্মচারীরা মানববন্ধন করে জানান মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিছন্নতা কর্মীরা।
এদিকে নগরীর ময়লা পরিষ্কার না হওয়ায় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ময়লা পরিষ্কারের কর্মীদের কয়েকজন সদস্য একই কথা বলেন, অজ্ঞাত কয়েকশ লোকের নামে মামলা হয়েছে- তাই আতংকে কাজে যাচ্ছে না তারা।
একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরবাসীকে ময়লা দিয়ে জিম্মি করা ঠিক হবে না। এ জন্য দুই পক্ষকে বসে দ্রুত সমাধানের আহ্বানের দাবি নগরবাসীর।
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদের মোবাইল ফোনে শনিবার পর্যন্ত কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ডা. রবিউলের মোবাইল ফোনও শুক্রবার থেকেই বন্ধ। এছাড়া প্যানেল মেয়র থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
শুক্রবার এক সাংবাদিককে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, তার বেশির ভাগ কর্মী মামলার আসামি। তারা সকলে পলাতক। তাহলে কারা ময়লা পরিষ্কার করবেন?