কয়েক শ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সম্পদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির এই সিদ্ধান্তের কথা রোববার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদকে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ০.৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারি করেন।
অন্য আরও একটি অভিযোগে বলা হয়, খিলগাঁও মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে মির্জা আব্বাস আরও ১৫০ কাঠা জমি দুনীতির মাধ্যমে ক্রয় এবং খিলগাও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরি করে নিজ নামে/বেনামে বরাদ্দ নিয়ে দুইশত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া গুলশান-বনানীতে তিনি আরও ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাৎ করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে তা অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে কয়েক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী এই সংস্থাটি। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির এই সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে মামলাও করে দুদক।