শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারের সহযোগী। সেই সহযোগী হিসেবে তাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যেখানে তাদের ইতিবাচক ভূমিকা থাকবে সেখানে সরকার ষোলো আনা সহযোগিতা করবে, পারলে আরও বেশি করবে। আর কোথাও যদি নেতিবাচক দিক থাকে তাহলে আসুন আমরা সেগুলো চিহ্নিত করি। নেতিবাচক দিকগুলো আমাদের দূর করতেই হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত ভার্চুয়াল শোকসভায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক অব্যবস্থাপনা ও জটিলতা আছে। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। আমাদের কোথাও কোথাও হয়তো দুর্বলতা রয়েছে, সে দুর্বলতার সুযোগ অনেকেই নেয়। আমরা আইনগুলোকে পর্যালোচনার চেষ্টা করছি। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যখন তৈরি হয়েছিল তখন দেশে মাত্র ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। কিন্তু এখন দেড়শটিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। কাজেই আজকের পরিবেশের সঙ্গে এবং আগামী দিনের জন্য সক্ষম একটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রয়োজন। সে কারণে আইন পরিবর্তন করা আইন সংশোধন করা, যেখানে যা কিছু করা প্রয়োজন আমরা করছি।
দীপু মনি বলেন, আমরা এমন কোনও পদক্ষেপ নেবো না যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলাকে খর্ব করবে, বিঘ্নিত করবে। তবে যেখানে ত্রুটি আছে অবশ্যই সেগুলো রোধ করা আমাদের দায়িত্ব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল পাল্টে ফেলতে চেয়েছিলেন। যেখানে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক, কারিগরি শিক্ষার কথা বলেছিলেন, যেখানে নারী-পুরুষ সবাই শিখবে। ড. কুদরত-ই-খুদার শিক্ষা কমিশনের রূপরেখা অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমরা এগিয়ে চলেছি।
এর আগে অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলো উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। নিয়ম মেনে পরিচালনার চেষ্টা করছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এনামুল হক শামীম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে সমস্যায় না পড়ে সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, শিক্ষা গবেষণায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, সরকার আগামীতে আরও অনেক অর্থ সহযোগিতা করবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদের ফান্ড আছে তাদের খেয়াল রাখতে হবে, সেই অর্থ গবেষণায় খরচ করতে হবে, বিলাসবহুল সামগ্রীতে কেনার জন্য নয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বেনজীর আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যকরী সদস্য নুরুল ফজল বুলবুল।