এনক্রমাহ বোনার, জার্মেইন ব্ল্যাকউড এবং জেসন হোল্ডার- এরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন কিছুটা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা স্রেফ বালির বাঁধের মতো উড়ে গেলো পাকিস্তানি পেস বোলিংয়ের সামনে। বিশেষ করে শাহিন শাহ আফ্রিদির পেস আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো ব্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে মাত্র ১৫০ রানেই শেষ হয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস।
শাহিদ শাহ আফ্রিদি বল করলেন কেবল ১৭.৩ ওভার। এর মধ্যে ৭টি মেডেন। রান দিয়েছেন ৫১টি। আর একাই উইকেট নিলেন ৬টি। মূলত তার পেস আগুনেই ঝলসে গেলো স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন। আরেক পেসার মোহাম্মদ আব্বাস নিয়েছেন ৩ উইকেট। তিনি বল করেছেন ১৮ ওভার। বাকি উইকেটটি নিলেন ফাহিম আশরাফ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান খুব বেশি দুর যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। প্রথম ইনিংসেই এগিয়ে থাকল ১৫২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও ১৭৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন বাবর আজম। তারা উইকেট হারায় ৬টি।
ওপেনার ইমরান বাট করেন ৩৭ রান। আরেক ওপেনার আবিদ আলির ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসে ২৯ রানের ইনিংস। আজহার আলি করেন ২২ রান। বাবর আজম করেন ৩৩ রান। হাসান আলির ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান, ফাহিম আশরাফ ৯ রানে আউট হন। মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত থেকে যান ১০ রানে।
জয়ের জন্য ৩২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। কাইরন পাওয়েল রানআউট হয়ে যান শাহিন আফ্রিদির হাতে। আজ খেলা হবে পঞ্চম দিনের। জিততে হলে ক্যারিবীয়দের এখনও ২৮০ রান করতে হবে। হাতে উইকেট আছে ৯ টি। চতুর্থ দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯।
কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রায় অর্ধেকই খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিন তো পুরোটাই ভেসে যায় বৃষ্টিতে। প্রথম এবং তৃতীয় দিন ও খেলা হয়েছে খুব স্বল্প। এরই মধ্যে ৯ উইকেটে ৩০২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। ফাওয়াদ আলম করেছিলেন অনবদ্য সেঞ্চুরি। ১২৪ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। বাবর আজম করেন ৭৫ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ বিপদে পড়ে ক্যারিবীয়রা। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৪ রানে এবং কাইরন পাওয়েল আউট হন ৫ রান করে। এরপর এনক্রুমাহ বোনার করেন ৩৭ রান। মিডল অর্ডারে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। জেসন হোল্ডার করেন ২৬ রান।