জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে যা বললেন রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
ফাইল ছবি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বৃহস্পতিবার দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আজকে চারদিকে কোন ন্যায়-অন্যায় নেই। কোনো সত্য নেই। এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাকে প্রতিনিয়ত অপমান করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাকে নানাভাবে কটুক্তি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন কিনা তার কোনো প্রমাণ নেই। কে বলছেন? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এটা কি তিনি বলতে পারেন? দেশের বরেণ্য একজন মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার স্বাধীনতার ঘোষক তাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এটা অসার বাচলতা।

রিজভী বলেন, আজকে যারা সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন, ঢাকায় অবস্থান করছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অথচ তারাই আজকে বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা মনে করি আজকের এই গণতন্ত্রের ঘাটতির যুগে স্বাধীনভাবে কথা বলতে গেলে যে নীপিড়ন নির্যাতন সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেতে সর্বোপরি আজকে চারিদিকে একটি ভয় ও অন্ধকারের মধ্যে আমাদেরকে জাগিয়ে তোলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনি। কাজী নজরুল ইসলাম গোটা জাতিকে সব শিকল ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে তাগিদ দিয়েছেন সেটা এক অনুপম দৃষ্টান্ত। তার কবিতা থেকেই বলতে চাই, আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। আমরা নতুন করে সৃষ্টি করবো গণতন্ত্র। আজকে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে অরগল মুক্ত করব। আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে এখানে আবার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে অরাজকতা অমানিশা দূরীভূত করে সূর্যের আলো নিয়ে এসে বাংলাদেশকে ভরে তুলব।

রিজভী বলেন, আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমাদের জাতীয় জীবনে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান যে কত অসীম আমরা যখন মিছিল করি তখন প্রেরণা দেয় কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি তখনও আমাদের প্রেরণা দেন তিনি। আমরা তার কবিতা তার গান, তার লেখনি সব কিছু আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা যখন শান্তির কথা বলি একে অপরের সঙ্গে মমত্বের কথা বলি তখনও কাজী নজরুল ইসলাম অনবদ্য মহিমাময় প্রেরণা যোগায়। তাই জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

এসময় বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড.ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন