ডিসেম্বরের মধ্যে চার মাসে দেশের ৭ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। আজ শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তিকৃত সকল টিকা চলে এলে আমরা সাত কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারব। আমরা পর্যায়ক্রমে সকলকেই টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তবে আমরা আমরা গ্রামগঞ্জের মানুষকে বেশি টিকার দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। কারণ গ্রামের মানুষ টিকা কম পেয়েছে, সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলে পঞ্চাশোর্ধ্ব লোকের মৃত্যুর হার প্রায় ৯০ শতাংশ। আমরা তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে টিকা দানের আওতায় আনব।
করোনা মোকাবেলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। প্রধানমন্ত্রী সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমরা করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমরা করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত পৌনে দুই কোটি লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এসবই বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়নের ফসল।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার শুরুতে পরীক্ষা করার জন্য মাত্র একটি ল্যাব ছিল। এখন দেশে সাড়ে ৭শ ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া বর্তমানে করোনা রোগীর জন্য ১৭ হাজার বেড, ১১০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে অক্সিজেনের অভাব হয় নেই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম প্রমুখ।