ঢাকায় পৌঁছেছে জাপানের দেওয়া উপহারের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আরও ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ । এ নিয়ে ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা পাঠালো সূর্যোদয়ের দেশটি।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে টিকা বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশকে ৩০ লাখের বেশি ডোজ টিকা উপহার দেবে বলে জানিয়েছিল সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। পঞ্চম চালানে যার সমাপ্তি হলো। এর আগে চারটি চালানে ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৪০ ডোজ টিকা পাঠায় দেশটি।
গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে আসে। গত ২ আগস্ট আসে উপহারের আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। ২১ আগস্ট চতুর্থ চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় আসে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি কোভ্যাক্সের আওতায় ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে তালিকায় বাংলাদেশের নামও ছিল। সেখান থেকেই ৩০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ২২ ডোজ। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৮ জন প্রথম ডোজ এবং ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৩৫৪ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
এছাড়াও, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৭১ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ ডোজ।