মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬ হাজার ১৯৫ জনে। ৮৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৪ জন ও নারী ৪২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৭৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১১ জন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৩৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬১৮ জনে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৭৮৯টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৬৭৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৮ হাজার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার হাজার ১০২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৫ জন। সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৬ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন, বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব আটজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ২৯ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১৯ জন, আশি-ঊর্ধ্ব চারজন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রামে ১৯ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, খুলনায় ১৫ জন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে নয়জন, রংপুরে পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।