মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয় লাখ ডলারের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মাত্র ১০ ডলার খরচ করে ভূপাতিত করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইরানের খাতামুল আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির উপপ্রধান ফার্স্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদি সাকাফিফার্দ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী যে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি লাভ করেছে তার প্রশংসা করে সাকাফিফার্দ দাবি করেন, তার দেশ হচ্ছে ডাইরেক্টেড এনার্জি প্রযুক্তির অগ্রপথিক এবং ইরানের আকাশসীমায় শত্রুর ক্ষুদ্র কোনো যান প্রবেশ করলেও ইরান তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। খবর পার্সটুডের
ইরানের একটি বার্তা সংস্থাকে বুধবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল মেহদি সাকাফিফার্দ বলেন, তার দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে অকার্যকর করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার আগে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা কিছু উপায়-উপকরণ দিয়ে মাত্র ৩৮০ কিলোমিটার দূরের উড়ন্ত বস্তুকে সনাক্ত করতে পারত। কিন্তু এখন ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট যে রাডার ব্যবহার করে তার মাধ্যমে ৮০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যকার বস্তু চিহ্নিত করা যায়। এখন এমন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে যাচ্ছে যা তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত এবং প্রতিহত করতে পারবে।
ইসলামি বিপ্লবের আগের তুলনায় ইরান তার রাডার প্ল্যাটফর্মকে ৪০০ গুণ বাড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের বিষয়ে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি যা বিশ্ব সম্প্রদায় বিশ্বাস করতে চাইবে না। এছাড়া, ইরান যে বভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে তা রাশিয়ার এস-৩০০ এর চেয়ে উন্নত এবং খুব শিগগিরই আমরা এই ব্যবস্থাকে এস-৪০০ এর পর্যায়ে নিয়ে যাব।’