করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জানুয়ারি মাসের মধ্যে পাঁচ মাসে সাড়ে ১৬ কোটি টিকা আসছে বাংলাদেশে। ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী চীন থেকে আগামী ৩ মাসে ছয় কোটি ও জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আসবে সাড়ে ১০ কোটি টিকা।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা চায়নায় সাড়ে সাত কোটি টিকা অর্ডার দিয়েছি। প্রথমে অর্ডার দেওয়া হয় দেড় কোটি টিকার। কিছুদিন আগেই আমরা ছয় কোটি টিকা অর্ডার দিয়েছি। প্রতি মাসে দুই কোটি করে আগামী তিন মাসে এই ছয় কোটি টিকা চলে আসবে।
এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সাড়ে ১০ কোটি টিকার একটা প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে স্বস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এবং ওনার অনুমতি সাপেক্ষে এই টিকা ক্রয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সাড়ে ১৬ কোটি টিকা আমরা ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আগামী সেপ্টেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে টিকাগুলো বাংলাদেশে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বাংলাদেশ প্রায় সাত কোটি ডোজ টিকা বিনামূল্যে পাবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা আমরা বিনামূল্যে পাই, সেটা চলমান থাকবে। গতকাল আমরা ফাইজারের ১০ লাখ টিকা পেয়েছি। এটা এভাবে চলমান থাকবে। আমাদের পরিকল্পনা হলো, সেপ্টেম্বর থেকে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে দেড় থেকে দুই কোটি লোককে টিকা দেওয়া।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, মডার্নার যে টিকা আমরা পাব, তার বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের ছেলে-মেয়েরা টিকা দিয়ে স্কুলে যেতে পারলে ভালো।
তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাতে ফাইজার এবং মডার্নার টিকা বাচ্চাদের দেওয়া হয়েছে। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাচ্চাদের টিকা দিয়েছে। সে কারণে আমরাও এটা আমাদের দেশে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।