ডিএসসিসি মেয়র তাপসের বিদেশ সফরের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কুশপুতুল দাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিদেশ ভ্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিদেশ ভ্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মেয়র তাপস ব্যর্থ উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

‘বিক্ষুব্ধ পুরান ঢাকাবাসী’ ব্যানারে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে সেখানে মেয়র তাপসের কুশপুতুল দাহ করা হয়।

universel cardiac hospital

মানববন্ধনে পুরান ঢাকার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, সঠিক কর্মপরিকল্পনার অভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিশেষ করে তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর মেয়র তাপস ২০ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। এর চেয়ে লজ্জা আর হতে পারে না। ঢাকাবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা মেয়রের পদত্যাগ দাবি করছি।

পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা নাসরিন সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের প্রতি দৃষ্টি দিন। পুরান ঢাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। আপনার মেয়র (তাপস) কাজ করছে না।

তিনি বলেন, উত্তর সিটির মেয়র (আতিকুল ইসলাম) যেভাবে কাজ করছেন, দক্ষিণের মেয়র সেভাবে কাজ করছেন না। আমরা তাকে নগরবাসীর প্রতি দৃষ্টি দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী সাইফুল্লাহ নবীন একটি প্রতীকী ডেঙ্গু মশার ভাস্কর নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু বেড়েছে এবং শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সেখানে সিটি করপোরেশনের কোনো কাজ দেখছি না।

সাইফুল্লাহ নবীন আরও বলেন, তারা ডেঙ্গু বা কীটনাশকের ব্যাপারে যদি সচেতন হতেন, তাহলে এতো শিশু আক্রান্ত হতো না। আমি শিশু সংগঠক ও শিশু সাহিত্যিক হিসেবে সিটি করপোরেশনকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট নগর ভবনের সামনে মেয়র তাপসকে ‘এডিসের লার্ভা উপহার কর্মসূচি’ করেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। ওইদিনও ‘বিক্ষুব্ধ পুরান ঢাকার বাসিন্দারা’ ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ওই কর্মসূচি চলাকালে ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীর ও তার সহযোগীরা কর্মসূচিতে বাধা দেন। তারা অভিযোগ করেন, এগুলো সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নাটক।

শেয়ার করুন