সিলেট-৩ আসনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে শনিবার সকাল আটটায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
করোনার কারণে আসনটি নির্বাচনে দু’বার তারিখ দিয়েও পেছাতে হয়েছে ইসিকে। প্রথমবার জাতীয় পার্টির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, দ্বিতীয়বার উচ্চ আদালতের নির্দেশে। এছাড়া এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্তত ছয় ভোট কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গেছেন প্রথমবার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন।
উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ওঠে যাওয়ার পর নতুর তারিখ দিয়ে ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইসি। ভোটের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, সিলেট-৩ শূন্য আসনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসি প্রস্তুত। ভোটের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সাধারণ কেন্দ্রে ১৮ জন ও ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে ১৯ জনের ফোর্স। রয়েছে র্যাব, বিজিবি, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করছেন তিনজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ও ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত ১১ মার্চ সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা গেলে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। এরপর ১৪ জুলাই ভোটের তারিখ দেয় ইসি। ওইদিন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় দলটি ভোট পেছানোর দাবি করে। সেই দাবি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ২৮ জুলাই ভোটের পুনর্তারিখ দেয় কমিশন। কিন্তু একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভোটের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার নির্দেশনাও দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে কমিশন ২৩ আগস্ট ভোটের নতুন তারিখ দেন ৪ সেপ্টেম্বর।