দেশব্যাপী দালালবিরোধী অভিযানে প্রায় ৫ শতাধিক দালালকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাব। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৬৮টি পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব দালালকে জরিমানা ও সাজা প্রদান করে।
এলিট ফোর্সটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, সরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দালালমুক্ত করতে দেশজুড়ে তাদের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, পাসপোর্ট ও ভূমি অফিস রয়েছে।
র্যাবের সূত্রটি আরও জানায়, সকাল থেকে র্যাবের সব ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে প্রায় ৬৮টি অভিযান চালানো হয়। এতে ২৪৮ জনকে নগদ জরিমানা করে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৬ টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া ২৪৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (এক সপ্তাহ থেকে ছয় মাস) সাজা দেওয়া হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি সময়ে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ ও ভূমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক ভূক্তভোগী বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি র্যাব সাইবার মনিটরিং সেলের মাধ্যমে সাইবার ওয়ার্ল্ডেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। এছাড়া র্যাব সদর দপ্তরের ফেসবুক পেজেও (র্যাব অনলাইন মিডিয়া সেল) অনেক ভুক্তভোগী প্রতারিত হয়েছে জানিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযানে আমাদের সঙ্গে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।