মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দিতে ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন। গত বছরের চেয়ে এই সংখ্যাটা ৪১ হাজার বেশি। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৭৮ জন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড থেকে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কয়েক দফা স্থগিতের পর গত ১২ আগস্ট থেকে এবার এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু হয়। শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে ১৪ লাখ সাত হাজার ৬০ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯, যাদের সবাইকে অটোপাস দেওয়া হয়েছিল। গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪১ হাজার ২৭১।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার ঢাকা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৭৮ জন। বরিশাল বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ৬৬ হাজার ৯৭৮ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ৯৬ হাজার ৮১২ জন। কুমিল্লা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭১১ জন। দিনাজপুর বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৬ জন। যশোর বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৫৬ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ৬৯ হাজার ৩০৭ জন। রাজশাহী বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৯ জন। সিলেট বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ৬৬ হাজার ১০১ জন।
মাদ্রসা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ১৩৭ জন। কারিগরিতে ঢাকা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৫ জন।
- আরও পড়ুন >> নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এইচএসসির ফরম পূরণ করেছেন। এবার অনলাইনে ফরম পূরণ করার পাশাপাশি বোর্ডের ফি মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার এই সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় বন্ধ বাড়িয়ে করা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। দেড় বছরেরও বেশি সময় পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
করোনার কারণে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড়ের ওপর এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। তবে এ বছর ৮৪ দিনের পাঠ পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।