বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলের কেন্দ্রীয় ৭ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরায় দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকের খবরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
জামায়াত নেতাদের আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালাই।’
গ্রেপ্তার নেতারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর থেকে অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় জামায়াত। সাবেক আমিরসহ একাধিক নেতার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হওয়ার প্রতিবাদে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে আর প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করছে না দলটি।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পরপর সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাত নেতাসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে বিদ্যমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠক থেকে সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের সাতজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে।