ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণরুম না রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় গণরুমগুলোতে বসানো হচ্ছে খাট। শিক্ষার্থীরা হলে আসার আগেই তাদের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে সিট।
হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলের সাতটি গণরুম পরিষ্কার করে সেখানে ২৮টি খাট বসানো হয়েছে। সিট বরাদ্দের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অন্য হলগুলোতেও গণরুমগুলোকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলমান। কোনো শিক্ষার্থীকে আর ফ্লোরে ঘুমাতে হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব কাজ শেষ করে হলকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করার নির্দেশনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, কোন হলে কয়টা গণরুম আছে, সেগুলোতে কত ছাত্র ছিল, কোনো অবৈধ ছাত্র ছিল কি-না এটার ওপরে ডাটা তৈরি করা হয়েছে। গণরুমগুলো পরিষ্কার করে সেখানে খাট বসানো হয়েছে। একটা গণরুমে প্রায় ১৫ জন করে ছাত্র ছিল। ৮ জনকে আমরা এখান থেকে অ্যালোকেশন দিয়েছি, যারা রুমগুলোতে ছিল। এছাড়া যেসব রুমগুলো অছাত্রদের দখলে ছিল, সেগুলো বাকি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, হল সংস্কারের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১০ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। হলের গণরুম ও বারান্দা প্রথা বাদ দিয়ে সেখানে খাট বসিয়ে সুন্দর পরিবেশ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে সিট বরাদ্দও শুরু হবে।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, আবাসিক হলগুলো খোলার পর অছাত্রদের কোনোভাবেই হলে উঠতে দেওয়া হবে না। আবাসিক হলে অছাত্রদের কোনো জায়গা নেই। যারা হলের বৈধ শিক্ষার্থী এবং যাদের টিকা নেওয়া হয়েছে, কেবল তারাই হলে উঠতে পারবেন। যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের হল ছেড়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হলগুলোতে এখন আর গণরুম থাকবে না। উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে প্রভোস্ট কমিটি একটি নীতিমালা করেছে। আর কোনো শিক্ষার্থী ফ্লোরে ঘুমাবে না, অবশ্যই নির্ধারিত একটা খাট থাকবে। গণরুমে আর কোনো শিক্ষার্থী থাকবে না। তাদের মান সম্পন্ন রুমগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।