তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণার পর এই নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, তালেবানের মন্ত্রিসভা নিয়ে তারা ‘উদ্বিগ্ন’।
উদ্বেগের কারণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তালেবানের এই মন্ত্রিসভায় কোনো নারীর নাম নেই। এছাড়া অন্তত এমন একজনকে এর সদস্য করা হয়েছে যিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছেন। খবর ফোর্বসের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র ওই বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গলবার তালেবান কর্তৃক উন্মোচিত কট্টরপন্থী সরকারের কিছু সদস্যের ‘সংযুক্তি ও ট্র্যাক রেকর্ড নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন’।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা নাম উল্লেখ করেনি। তবে আগে থেকেই সবার জানা যে, সেই নামটি সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা। এফবিআই তাকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছিল এবং তার মাথার দাম ৫০ লাখ ডলার ঘোষণা করেছিল। সিরাজউদ্দিন হাক্কানি তালেবান সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
এছাড়া তালেবান মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়ও রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের নতুন সরকারে কোনো নারী না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এছাড়া অন্যান্য গোষ্ঠীর সমন্বয়ে সরকারের গঠনের ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তা অনুপস্থিত। নতুন সরকার তালেবান সদস্যদের দ্বারা প্রভাবিত বলেও মত যুক্তরাষ্ট্রের।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘আমরা বুঝতে পারি যে তালেবানরা এটি কেয়ারটেকার মন্ত্রিসভা হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তবে, আমরা তালেবানকে তার কাজে বিচার করব, কথায় নয়। আমরা প্রত্যাশা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আফগান জনগণকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার দিতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে কেয়ারটেকার সরকারের ঘোষণা দেয় তালেবান। নতুন সরকারের প্রধান হয়েছেন মোল্লা হাসান আখন্দ। আর ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ আবদুল গনি বারাদার।
তালেবানের উপ-নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমির খান মুত্তাকি ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজনৈতিক প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই ভারপ্রাপ্ত উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মোল্লা ইয়াকুব ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হবেন।
শিগগিরই অন্যান্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রধান নিয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।