ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর যে, এখন থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার মুসল্লি ওমরা করার সুযোগ পাবেন। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ থাকবে ভাষাগত পরিষেবা সুবিধাও। প্রতিদিন ওমরাকারীর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের। খবর আরব নিউজ।
প্রতিদিন ৭০ হাজার মুসল্লির পবিত্র নগরী মক্কায় ওমরাহ পালন ও মদিনায় জিয়ারতে সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পবিত্র দুই মসজিদের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ও খতিব শায়খ আব্দুল রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের নেতৃত্বে এ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন সৌদি আরবের বাইরের লোকদের জন্য বন্ধ ছিল ওমরাহ কার্যক্রম। গত ১৫ আগস্ট থেকে করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে বিদেশিদের ওমরাহ পালনের সুযোগ দেয় সৌদি।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র হানি বিন হুসনি হায়দার বলেন, ওমরায় অংশগ্রহণকারী ও ইবাদতকারীদের সবাইকে সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ওমরাহ পালনকারীদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে অতিরিক্ত পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
মুখপত্র হায়দার আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতায় তারা যেসব আধুনিক প্রযুক্তি ও জীবণুবিরোধী কার্যক্রম চালু করেছে; তাহলো-
> জীবাণু নিষ্ক্রয় কাজে ১১ টি রোবটের ব্যবহার।
> শুষ্কভাপের জন্য ২০টি বায়োকেয়ার ডিভাইস ব্যবহার।
> জীবাণুমুক্তকরণ পাম্প ৫০০টি।
> হাত জীবাণুমুক্ত করণে স্বয়ংক্রিয় ৫০০ সাবান বিতরণ প্রক্রিয়া চালু।
> মসজিদে হারামের আঙিনায় ২৫০টি ফ্যান সরবরাহ।
> ওমরাহ ও জিয়ারতকারীদের জন্য জমজমের পানি সরবরাহও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন ৩ লাখ বোতল জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে।
মসজিদে হারামের নিয়মিত কোরআন ও ইসলামিক আলোচনা সেমিনার যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সতর্কতার সঙ্গে পুনরায় শুরু হবে বলে জানান হানি বিন হুসনি হায়দার।
তিনি আরও জানান, ওমরাহ ও জিয়ারতে অংশগ্রহণকারীদের বোঝার সুবিধার্থে ইংরেজি, তুর্কি, উর্দু, ফার্সি, ফরাসি, রাশিয়ান, মালয়, বাংলা, চাইনিজ এবং হাউসা ভাষায় অনুবাদ পরিষেবাও প্রদান করবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।