আফগানিস্তানে সাহায্য পাঠানোর জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে, আফগানিস্তান এখন বড় মানবিক সংকট মোকাবেলা করছে। সূত্র: বিবিসি।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে দেশটিতে ব্যাপক মানবিক সংকট দেখা যায়। সোমবার জেনেভায় একটি সম্মেলন আয়োজন করবে জাতিসংঘ। এই সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়া হবে।
জাতিসংঘ বলেছে, আফগানিস্তানের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার দরকার। সেখানে মিলিয়ন মিলয়ন মানুষের জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তানের মানুষ এখন কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে। সেখানে খরা এবং করোনা মহামারির পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের সাহায্য প্র্রয়োজন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে নগদ টাকার সরবরাহে সংকট দেখা দেয়ায় সংকট বেড়েছে। সেখানে নারীদের অধিকারদের নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা প্রেরণ করাটা এখন গুরুত্বপূর্ণ হবে।
গত মাসে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের আগে সহিংসতার কারণে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সেদেশের ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ যে তহবিল সংগ্রহের টার্গেট করেছে তার এক-তৃতীয়াংশ সংস্থাটির বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএফপি) দেয়া হবে। এই সংস্থাটি আফগানিস্তানের খাদ্য সরবরাহ সহ অন্যান্য সহায়তাদানের মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয় করবে।