প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে পরীক্ষায় আসছে বড় পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

২০২৩ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-পিইসি এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি পরীক্ষা থাকবে না। সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে।

এতদিন নবম ও দশম শ্রেণির কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা হলেও ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি ফল হবে একাদশ ও দ্বাদশের ফল মিলিয়ে। এইচএসসির নাম ও গ্রেডিং পদ্ধতিতেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন।

সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরিমার্জিত কারিকুলামের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা রেখে পরিমার্জিত কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী বছর পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে। ২০২৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে তা বাস্তবায়ন করা হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতদিন নবম ও দশম শ্রেণির কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। পরিমার্জিত কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণিতে যা পড়ানো হবে, তার ওপরে ভিত্তি করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেয়া হচ্ছে। একটি সমন্বিত পাঠ্যক্রম থাকবে এই পর্যায়ে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে। সেগুলোই সবাই পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা পড়বে। অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক থেকে বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্যে বিভাজন হবে।

ডা. দীপুমনি বলেন, পরিমার্জিত কারিকুলামে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি শেষে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসবে। দশম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা এসএসসি ফল হিসেবে বিবেচ্য হবে। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ফল মিলিয়ে প্রকাশ করা হবে এইচএসসির ফল।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষতা অর্জনের বিভিন্ন কৌশল এই পরিমার্জিত কারিকুলামে বলা আছে। শিখন সময় প্রাথমিকে কতটা, মাধ্যমিকে কতটা হবে তা বলা আছে। আমরা সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন