বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরও কমেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৯১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন চার লাখ তিন হাজার ৩২৭ জন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ২৮ জনে। এ সময়ে বিশ্বব্যাপী শনাক্ত হয়েছেন ২২ কোটি ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৮১ জন।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনো বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৬৮ জন।
সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪২ হাজার ৯০৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৪ জন।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি নয় লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৫০ হাজার ৪৭১ জন।
সংক্রমণের তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন, ইতালি।
সংক্রমণের তালিকায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৯৩১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু করেছে।