বাংলাদেশের রাজনীতিতে জুজু এবং জিয়া

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। ফাইল ছবি

ছোটবেলায় মা আমাদের জুজুর ভয় দেখাতেন। বলতেন জুজুকে দেখা যায় না, সে একটি প্রেতাত্মা। বড় হয়ে আমাদের রাজনীতিতে বহু জুজুর আবির্ভাব দেখেছি। পাকিস্তান আমলে এই জুজুর নাম ছিল ভারতীয় জুজু। কখনো চোখে দেখিনি। তবে শাসক মুসলিম লীগের নেতাদের মুখে সব সময় এই জুজুর নাম শুনতাম। শহীদ সোহরাওয়ার্দী যখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে নামেন তখন মুসলিম লীগের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান বলেছিলেন, ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী ভারতের লেলিয়ে দেওয়া পাগলা কুত্তা।’ ভারত একটি জুজু হলে কেমন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে কুত্তা বানাল তা আমরা জানতে পারিনি। পরে দেখা গেল সেই ভারতীয় জুজু আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামে বিরাট সাহায্য জোগাচ্ছে। মৃত মুসলিম লীগের এটা সহ্য হয়নি। তারা স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপির বেশে বের হয়ে আবার ভারতীয় জুজুর ভয় দেখাতে শুরু করে। এই ভারতীয় জুজুর হাতেই জিয়াউর রহমান প্রাণ হারিয়েছেন বলে তারা প্রথম দিকে প্রচার করেছিল। এই জিয়াউর রহমান এখন নিজেই একটি জুজু হয়েছেন। কারণ কবরে নাকি তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি। তাহলে তিনি গেলেন কোথায়? প্রেতাত্মারাই নাকি জুজু হয়। তাহলে জিয়াউর রহমান কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার জুজু হয়ে জেগে উঠেছেন? গত ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার অনলাইনে একটা প্রগ্রাম দেখছিলাম। প্রগ্রামটি পুরনো, না নতুন তা বুঝতে পারিনি। তবে মনে হচ্ছিল নতুন। কারণ কবরে জিয়ার লাশ আছে কি না এবং জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিলেন কি না এই বিতর্কটি নিয়ে আলোচকরা আলোচনা করছিলেন। সম্প্রতি দেখছি এই বিষয়টি নিয়েই ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ভরে গেছে। কিন্তু আলোচক মাত্র তিনজন। ঘুরেফিরে তাঁরাই তাঁদের চেহারা মোবারক পর্দায় দেখাচ্ছেন। তাঁদের নামও আমি জানি না। অনলাইনের আলোচনা থেকেই জানলাম, এই তিন মূর্তির নাম যথাক্রমে ড. কনক সরওয়ার, ওহাব উদ্দিন ও ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য।

সম্ভবত তাঁরা ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের শিষ্য, একমাত্র পিনাকী ভট্টাচার্য ছাড়া। এই শেষোক্ত ভদ্রলোক সরাসরি একটি মার্কিন সংস্থার সঙ্গে জড়িত বলে খবর পেয়েছি। খবরটা কতটা সঠিক তা জানি না। তবে তাঁর ভূমিকা অনেকটা বাংলার নবাবি আমলের কালাপাহাড়ের মতো। কালাপাহাড় ছিলেন একজন বিদ্বান হিন্দু। তিনি উচ্চ শ্রেণির এক হিন্দু মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু অচ্ছুত বলে মেয়েটি তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। সেই রাগে কালাপাহাড় তাঁর নাম পাল্টে গদা হস্তে রণাঙ্গনে আবির্ভূত হন। তিনি হিন্দু দেব-দেবীর মন্দির ভাঙা শুরু করেন। তাদের সম্পত্তি লুট করেন। মেয়েদের ধর্ষণ করেন। চারদিকে এক বিভীষিকার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নাম হয়েছিল কালাপাহাড়। পিনাকী ভট্টাচার্যকে বিদ্বান বলেই মনে হয়। কিন্তু এই বিদ্যা তিনি কোনো সৎ কাজে লাগাননি। অসৎ কাজে লাগাচ্ছেন। কালাপাহাড় যেমন তাঁর শারীরিক শক্তি ধ্বংসাত্মক কাজে লাগিয়েছিলেন, পিনাকী বাবুও তেমনি তাঁর আহরিত জ্ঞানভাণ্ডার মানসিক ধ্বংসাত্মক কাজে লাগাচ্ছেন। এই জন্য তিনি যদি উপযুক্ত মাসোহারা পান তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁর কথার যুক্তি খণ্ডন করার মতো লোক বাংলাদেশে বহু আছে। কারণ সত্য কথা প্রতিষ্ঠার জন্য কথার কারচুপির দরকার হয় না। পিনাকী বাবু কথার কারচুপির ব্যবসা করেন। যাঁরা তাঁর প্রতিবাদ করেন তাঁদের বক্তব্য এতটাই সত্যের ওপর নির্ভরশীল তা কারচুপির আশ্রয় নিয়ে বলতে হয় না। তাঁর একটি বক্তব্যের প্রথম অংশ মিথ্যা। দ্বিতীয় অংশ সত্য। তিনি বলেছেন, ‘ক্যাপিটালিজম একটি প্রগতিশীল আদর্শ।’ এটা অতি বড় ক্যাপিটালিস্টও দাবি করেননি। মার্গারেট থ্যাচারের মতো ব্রিটেনের ক্যাপিটালিস্ট প্রধানমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন ক্যাপিটালিজম গণবিরোধী বলেই তিনি পিপলস ক্যাপিটালিজম বা জনগণের ধনতন্ত্র প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন। পিনাকী বাবুর বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশটি সত্য। সেই কথাটি হলো জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নষ্ট করে সেখানে পশ্চিমা ধনতন্ত্রের পচনশীল অবস্থা পুনঃ প্রবর্তন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ছিল এই পচনশীল ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উত্খাত করে সমাজতান্ত্রিক ন্যায়নীতি ও বৈষম্যহীন রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিষ্ঠা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেখলেন ধনতন্ত্রের পচনশীল ব্যবস্থায় দেশটির উন্নতি সম্ভব নয়, দুর্নীতি এবং সামাজিক ব্যবধান দ্রুত বেড়ে চলেছে, তখন তিনি তাঁর আদর্শের লাল ঘোড়া দাবড়ে দিতে বাধ্য হন।

universel cardiac hospital

পিনাকী বাবু হার্ভার্ড সোশ্যালিজমেরও ভক্ত নন। তাঁর বক্তব্য থেকেই বোঝা গেল তিনি অষ্টাদশ শতকের হার্ড ক্যাপিটালিজমের ভক্ত। যে ক্যাপিটালিজমের যুগে ১০ বছরের বালককে দাস শ্রমিক করা হতো, নারীদের কোনো অধিকার ছিল না, ছিল রাজন্যবর্গের ভোগের সামগ্রী, শ্রমিকদের কোনো অধিকার ছিল না—তাদের কাজের সময়সীমা ছিল ৭২ ঘণ্টা, কাজ করতে না পারলে বেতিয়ে তাদের মেরে ফেলা হতো, কোনো বিচার ছিল না। পিনাকী বাবু এই আদর্শের যুগে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিতে চান। যিনি ফিরিয়ে নিয়েছিলেন সেই জিয়াউর রহমান তাঁর পরম গুরু এবং পিতা। তাই জিয়াউর রহমানকে তিনি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজার বেদিতে বসাতে চেয়েছেন। এই পূজায় আর দুজন তাঁর ঢাকি। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন বঙ্গবন্ধু তাঁর ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যে সাফল্য অর্জন করেছেন জিয়াউর রহমান তা ছয় বছরেই শেষ করে দিয়ে অনেক বড় সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলার স্রষ্টা। এখানেও এই দুই ঢাকির মুখ থেকে একটি সত্য কথা বেরিয়েছে। এই সত্যটি হলো বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পিতা এবং জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতির পিতা। পিনাকী বাবু চতুর লোক। তাই একটি চতুর প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ মুজিব জাতির পিতা হলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কি তাঁকে জাতির পিতা হিসেবে মানে? অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষ হলো বাংলাদেশি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের উদগাতা হলেন জিয়া। সুতরাং শেখ মুজিবের পিতা হওয়ার অবকাশ কোথায়? পিনাকী বাবুর নামের পেছনে একটি ডক্টরেট আছে। এই ডক্টরেটটি তিনি কি সত্যই কোনো পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন, না আমাদের নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন? বাঙালি জাতি বলতে একটি সাংস্কৃতিক জাতি, তার সীমানা সারা ভারতসহ সারা বিশ্বে প্রসারিত। অন্যদিকে বিবিসির জরিপে তিনি বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ বাঙালি (বাংলাদেশি নন)। এই বাঙালি জাতি আজ রাজনৈতিক কারণে নানাভাবে বিভক্ত। কিন্তু তাঁর সাংস্কৃতিক জাতিসত্তা অভিন্ন। তাই বাংলা সাহিত্য সভ্যতা গোটা বাঙালি জাতির, খণ্ডিত বাংলাদেশির নয়। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতেই দেখা গেছে সারা বিশ্বের বাঙালি জাতি সাড়ম্বরে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী তারা সবাই তেমনভাবে পালন করে না। পিনাকী বাবুই এখন বিচার করুন তিনি বাংলাদেশি, না বাঙালি? তাঁর পিতা কে? তিনি যদি বাংলাদেশি হন, তাহলে তো জিয়াউর রহমান তাঁর পিতা নন। তাঁর পিতা জিন্নাহ। কারণ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি নাম দিয়ে (আসলে এটি একটি নাগরিক পরিচয়, জাতির পরিচয় নয়) জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্ব বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। বাঙালিরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নাগরিকত্বে বাংলাদেশি জাতিতে বাঙালি। দেড় হাজার বছরের সভ্যতা ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকার তাদের। পিনাকী বাবুর মতো লেজ কাটা নীলবর্ণ শৃগাল তারা নয়।

এবার জিয়া জুজুর কথায় আসি। তিনি বাংলা জানতেন না। ইংরেজিও ভালো করে জানতেন না। দেশের ক্ষমতা দখলের পর তিনি যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে লন্ডনে আসেন তখন গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছিল, বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্টের ইংরেজি খুব বোধগম্য নয়। আসল কথা, তিনি বাংলা যেমন জানতেন না, তেমনি ইংরেজিও নয়। শুধু অনুকরণ করতে শিখেছিলেন তাঁর পাঞ্জাবি বসদের। অসম্ভব চতুর ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাই গোঁফ ভেজানো বিড়ালের মতো বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নেই তাতে কী, ভাইস প্রেসিডেন্ট তো আছেন?’ তাঁর বর্তমান শাগরেদরা এই কথাটা বলে বোঝাতে চেয়েছেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু সরকারের কন্টিনিউটি বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। এটা ডাহা মিথ্যা। তিনি তাঁর ফোর্সের লোকদের দ্বারা দুর্বল স্বভাবের প্রধান সেনাপতি জেনারেল সফিউল্লাহকে আগেই আটকে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন উপপ্রধান সেনাপতি। কিন্তু সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে তিনি ডালিম-ফারুকদের দিয়েছিলেন তাণ্ডবের অবাধ অধিকার। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের দোষ দেওয়া হয়। কিন্তু কপালে বন্দুক ঠেকালে সম্ভবত দু-একজন বীর ছাড়া আর কারো পক্ষেই ঘাতকদের কথায় না বলা সম্ভব নয়। ঘাতকরা তাই সহজেই আওয়ামী লীগারদের দিয়েই মন্ত্রিসভা তৈরি করতে পেরেছিল। জিয়াউর রহমান ছিলেন এর নেপথ্যে। তিনি ভয় করছিলেন লাখ লাখ মুজিব অনুসারী রাস্তায় বেরিয়ে আসবে এবং ঘাতকদের ধরে ফেলবে। তাহলে তিনি বলতে পারবেন, ‘আমি তো এদের সঙ্গে ছিলাম না।’ অন্যদিকে ঘাতকরা যদি সফল হয়, তাহলে তাঁর পোয়াবারো। তিনি অপেক্ষা করবেন এবং মোশতাককে কিছুদিন নাচিয়ে তারপর স্বরূপে আবির্ভূত হবেন। মোশতাক বাধা দিলে তাঁকে জেলে পাঠাবেন। তিনি তাই করেছিলেন। জিয়া এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক জুজু। এই জুজু আওয়ামী লীগাররা ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, আবার বিএনপিও চাচ্ছে। চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরে কার লাশ তা আওয়ামী লীগাররা যেমন জানেন, বিএনপি নেতারাও তেমনি জানেন। এই প্রেতাত্মাকে কেন্দ্র করে জীবিত মানুষদের রাজনীতির লড়াই চলছে। জিয়ার মৃত্যুর বছরেই পাকিস্তানের জং পত্রিকার ইরেজি এডিশনে একটি খবর বেরিয়েছিল। তাতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশ পাওয়া যায়নি।’ তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর যখন বিদ্রোহীরা সম্পূর্ণ পরাভূত হয় তখন ঢাকায় পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের এক কর্মকর্তা ইশতিয়াক কোরেশী জিয়া পরিবারকে পরামর্শ দেন, ‘জিয়ার লাশ পাওয়া না গেলেও একটি নকল লাশের কবর দিতে হবে। তা না হলে দেশবাসীর কাছে মৃত বিএনপি নেতার কোনো প্রতীক খাড়া রাখা যাবে না। আওয়ামী লীগের শেখ মুজিব আছে। বিএনপির কেউ থাকবে না। অতঃপর দামি সেগুন কাঠের কফিনে যে মৃতদেহ ঢাকায় আনা হয়, তা জিয়াউর রহমানের কি না কেউ জানে না। কিন্তু রাজনীতির স্বার্থে বিএনপি এবং জিয়া পরিবার তা মেনে নেয়।’

সাধারণ নির্বাচন যতই সামনে এগোবে ততই বিএনপির অসৎ প্রচারণা বাড়তে থাকবে। এর মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা শুধু অতীতের ইতিহাসের পাতা ওল্টাবেন? না আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য বর্তমানে যেসব নতুন তথ্য প্রচারিত হচ্ছে তার সাহায্যে বিএনপির মিথ্যা প্রচারণা জনগণের কাছে তুলে ধরবেন? আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সত্য আছে, তাকে প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো যুক্তি-তর্কের বালাই নেই। তারা ক্ষমতায় আছে বলে মানুষ নির্দ্বিধায় তাদের কথা মেনে নেবে তা সত্য নয়। জিয়া এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক জুজু। এই জুজুর ভয় থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিকে মুক্ত করা দরকার এবং জিয়া যদি কবরে না থাকেন, তাহলে ইতিহাসের যে আস্তাবলে তাঁর স্থান, তাঁকে সেখানেই পাঠানো ভালো। সেখানে তিনি মীরজাফর, কুইসলিং এবং আরো বহু স্বনামধন্য ব্যক্তির সাহচর্য পাবেন। বিচার করে দেখতে পারবেন শঠতা ও বিশ্বাসঘাতকতায় কে তাঁদের মধ্যে বড়?

লন্ডন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

শেয়ার করুন