মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারিবোরে অনুপ্রবেশের দায়ে ১০ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে। মারিবোরের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে দ্য স্লোভেনিয়ান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকালে নিয়মিত টহল ও গাড়ি চেকিংয়ের সময় মারিবোরের পুলিশ প্রশাসন মেয়ে নামক স্থানে হাঙ্গেরিয়ান নিবন্ধনবিশিষ্ট একটি গাড়ি আটক করে। সেখান থেকে এই ১০ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়। গাড়ির চালক ছিলেন ২৯ বছর বয়সী একজন মলদোভান, তাকেও পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আটক হওয়া এই ১০ বাংলাদেশি স্লোভেনিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছেন। তাই বর্তমানে তাদের একটি স্থানীয় অ্যাসাইলাম সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও স্লোভেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ডোলেনিস্কা থেকেও একইদিনে অনুপ্রবেশের দায়ে এক আফগান নাগরিকসহ সাত পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করেছে নভো মেস্টো পুলিশ। এক জর্জিয়ান দম্পতির গাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। মানবপাচারের অভিযোগে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ওই জর্জিয়ান দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে ও তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
স্লোভেনিয়ায় বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস স্লোভেনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে।
অস্ট্রিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামান জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় গণমাধ্যমের সাহায্যে আমরা স্লোভেনিয়ায় আটক হওয়া ১০ বাংলাদেশির বিষয়ে জানতে পেরেছি। খুব শিগগিরই আমরা স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্লোভেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ও সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
ভৌগোলিক দিক থেকে স্লোভেনিয়া পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম ইউরোপের মধ্যকার সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত। তাই ইতালি, স্পেন কিংবা ফ্রান্সের মতো ইউরোপের উন্নত কোনো দেশে অনুপ্রবেশের আশায় বলকান উপদ্বীপের দেশগুলো থেকে অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী স্লোভেনিয়ায় পাড়ি জমান। বর্তমানে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নিকট ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে পৌঁছানোর জন্য স্লোভেনিয়া এক জনপ্রিয় ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।