শুধু মেয়র ও কাউন্সিলরদের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ‘সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু মেয়র বা কাউন্সিলর কারও একার পক্ষে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এডিস মশা এবং ডেঙ্গুকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য আলেম সমাজের ভূমিকাও অনেক।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম বা খতিবরা শুক্রবারে জুম্মার নামাজের খুতবায় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুবিধাজনক সময়ে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। লজ্জা পরিহার করে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস-আদালত কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রুটো ইনডেক্স অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব তুলনামূলক বেশি। সামাজিক আন্দোলনের সুফল হিসেবেই ডিএনসিসি এলাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়ার সভাপতিত্বে বৃহত্তর মিরপুরের ৭টি থানার প্রায় ১ হাজার আলেম এতে অংশগ্রহণ করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আগা খাঁন মিন্টু, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।