‘সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়নে দারিদ্র্য কমবে ২৪ শতাংশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্ভিক্ষ/দারিদ্র্য
ছবি : এপি

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সঠিক ব্যবহারে দেশে দারিদ্র্যের হার ৩৬ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ কমে ১২ শতাংশে আসতে পারে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল প্রটেকশন পাবলিক এক্সপেন্ডিচার রিভিউ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে, সামাজিক সুরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও প্রকল্পের পরিকল্পনা, নকশা, প্রোগ্রামিং এবং ডেলিভারিসহ বিদ্যমান কাঠামোতে কীভাবে উন্নতি করতে পারে, সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো মূলত গ্রামাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। শহরে জনসংখ্যার প্রায় পাঁচজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেক পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকার মধ্যে ভৌগোলিক বরাদ্দ পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শহরে ১৯ শতাংশ দরিদ্র জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলে ২৬ শতাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষ এ কর্মসূচির আওতায় এসেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার ডানডান চেন বলেন, কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবার সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় এসেছে। মহামারি আরও শক্তিশালী, দক্ষ এবং অভিযোজিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাকে জোরালো করেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করেছে, যা একই ধরনের আয়ের স্তরের দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

শেয়ার করুন