রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি যেন না ঘটে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরও নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দফতরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
অপরাধের শিকার কারা হচ্ছেন, কী কারণে হচ্ছেন, এর সঠিক কারণ নির্ণয় করার তাগিদও দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেছেন, আমাদের মূল দায়িত্ব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সে লক্ষ্যে ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল ও চেক পোস্ট কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তিনি দায়ের হওয়া মামলার দ্রুত তদন্ত আরও বেগবান করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এ বছরের আগস্ট মাসে অস্ত্র, মাদক ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর আস্থা অর্জনে আমাদের আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। নগরবাসীকে আইনানুগ সহযোগিতা করতে হবে। এমন সব কাজ করতে হবে, যেন আমরা আমাদের পোশাক নিয়ে গর্ব করতে পারি।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভার তথ্য অনুযায়ী, ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গুলশান ডিবির অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মাহমুদ মুহতারিম। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন ডিবি ওয়ারীর ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ওয়ারী জোনাল টিম ও ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।
আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের মোহাম্মদ হোসেন জাকারিয়া মেনন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আবু সালেক ও সার্জেন্ট তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের মীর মো. শাহ আলম।
এছাড়াও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ৯টি বিভাগের ১১৭ জন কর্মকর্তা ও ফোর্সকে বিশেষ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।