আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা এক হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লাভ করতে না পারলেও গ্রাহকের টাকায় চালাচ্ছিল সব কার্যক্রম। তিন বছর হলে পরিকল্পনা ছিল শেয়ারবাজারে ঢোকার।
শুক্রবার কুর্মিটোলা র্যাব সদরদপ্তরে ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান এলিট ফোর্সটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা দাঁড়ায় ৪০৩ কোটি টাকা। তখন চলতি সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে বকেয়া প্রায় ১৯০ কোটি টাকা।
বিভিন্ন সংস্থার সূত্রে প্রকাশিত বিপুল পরিমাণ দেনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল দম্পতি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে প্রতিষ্ঠানটির আরও দায় দেনা রয়েছে। তার পরিমাণ প্রায় ১০০০ কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানের বয়স তিন বছর হলে তিনি শেয়ার বাজারে ঢুকতে চেয়েছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪০৩ কোটি টাকা দেনা থাকা ইভ্যালির দুই কর্ণধারকে নেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। গুলশান থানার প্রতারণার মামলায় আজ তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে আরিফ বাকের নামে একজন ভুক্তভোগী ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের নামে গুলশান থানায় মামলা করেন।