করোনা টিকার মিশ্র ডোজ শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কতখানি কার্যকর– তা যাচাই করতে এ সংক্রান্ত গবেষণার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক গবেষক দল কোম-কোভ থ্রি সরকারের কাছে এই বিষয়ক গবেষণা চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৩৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হবে।
অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের এক ডোজ ফাইজার এবং অপর ডোজে অন্য কোনো কোম্পানির করোনা টিকা দেওয়া হবে।
আগামী সপ্তাহ থেকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে যুক্তরাজ্যে। দেশটির ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে আগস্ট থেকে।
এই কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেক। গবেষক দলের অন্যতম প্রতিনিধি ম্যাথিউ স্ন্যাপ রয়টার্সকে জানান, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের বিরল প্রদাহ মায়োকার্ডিটি ও পেরিকার্ডিটির মত সমস্যা এড়াতেই এই গবেষণা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকায় যে মায়োকার্ডিটি ও পেরিকার্ডিটির ঝুঁকি আছে, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত; এই টিকা নেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে যারা হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগেছেন, তাদের অধিকাংশই তরুণ বা অল্পবয়সী।’
‘যদিও এখন পর্যন্ত খুব কমসংখ্যক টিকাগ্রহীতা এই সমস্যার শিকার হয়েছেন, কিন্তু তারপরও আমরা যুক্তরাজ্যের অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেওয়ার পক্ষপাতী নই। এ কারণেই এই গবেষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
ম্যাথিউ স্ন্যাপ জানান, প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মিশ্র টিকার কার্যকারিতা নিয়ে পৃথক একটি গবেষণা পরিচালনা করছেন তার দল কোম-কোভ থ্রি। মিশ্র ডোজের ক্ষেত্রে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যাবধান কতখানি থাকলে মানবদেহে সর্বোচ্চ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়- তা জানাই সেই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।
শিগগিরই সেই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্ন্যাপ।