আগামী ২৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কসবা, আখাউড়া, নবীনগর, নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপজেলাগুলোতে স্থানীয় সাংসদদের সাথে সমন্বয় করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ ও সম্মেলন সম্পন্ন করবার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি,যুগ্ম-সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলায় থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যদের সমন্বয়ে কয়েকটি সাংগঠনিক টীমও গঠন করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টীমের উপস্থিতিতে তৃণমূল প্রতিনিধি সভা ও ৭ অক্টোবর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনাসহ স্থানীয়ভাবে আরো কর্মসূচী যুক্ত করে ব্যাপক কর্মসূচী পালনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সম্প্রতি বিজয়নগরের লইস্কাবিলে মর্মান্তিক নৌকা ডুবিতে ২৩ জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
এদিকে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব পুনরায় দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে সভায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও ওলামা সমন্বয় পরিষদ নেতা মুফতি মকবুল আহমেদকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে তাকে ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফসা বেগমের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী শেখ সাদি এর মুক্তি দাবী করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি তাজ মো.ইয়াছিন,হেলাল উদ্দিন,মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,মঈন উদ্দিন মঈন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন,আবদুল হান্নান রতন,দপ্তর সম্পাদক তানজিন আহমেদ,সাংস্কৃতিক সম্পাদক নবীনগর পৌর মেয়র শিবশংকর দাস,শিক্ষা সম্পাদক ব্যারিষ্টার জাকির আহমেদ, শ্রম সম্পাদক শেখ মো.মহসিন, কার্যকরী সদস্য আখাউড়ার পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কাজী মোর্শেদ কামাল, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, সাদেকুর রহমান শরীফ প্রমূখ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, প্রবীণ নেতা কার্যকরী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া সহ সম্পাদকমন্ডলী ও কার্যকরী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমরা গত দুবছর ধরেই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করবার জন্য প্রস্তুত আছি। করোনার কারণে বিলম্বিত হয়েছে। আজকের সভায় জেলা আওয়ামী লীগ ও ৬ টি উপজেলার সম্মেলন করার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করেছি। উপজেলাগুলোর সম্মেলন করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আমরা কমিটিও গঠন করেছি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে এ বিষয়ে জানানো হবে। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেন,মুফতি মকবুল বিগত নির্বাচনের পূর্ব নির্বাচনেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর সাথে সক্রিয় আছেন। ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের তান্ডবের সময় সে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেননা। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা তার মুক্তি দাবী করছি।