দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ নিয়ে বিএনপি প্রধানের মুক্তির মেয়াদ তিন বার বাড়ানো হলো। আগের শর্ত বহাল থাকায় এই ছয় মাস দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বিএনপি প্রধান।
বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুবিধার্থে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে চলতি মাসের শুরুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জার্মানিতে ছিলেন। বলা হয়েছিল, ১০ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার পর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে গত বছর পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
সরকারের নির্বাহী আদেশে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী সাজা স্থগিত হলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ গুলশানের বাসায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা। এর মধ্যে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন।
এ পর্যন্ত তার সাজার স্থগিতাদেশ তিন দফা বাড়ানো হলো। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে আরও ৬ মাস বৃদ্ধি করে সরকার, যা ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।
প্রতিবারই তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দুটি শর্তে। মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।