মেলেনি জামিন, কারাগারে ডিআইজি পার্থ গোপাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিআইজি পার্থ গোপাল

ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনে করা মামলায় বরখাস্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

universel cardiac hospital

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন পার্থ গোপাল। সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় পার্থ গোপালের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ইকবাল হোসেন। জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে আপিল করলে শুনানি শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপালের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। জামিন দেওয়া বিচারক ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে বদলি করে চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী পার্থ গোপাণ বণিক আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর এক পর্যায়ে অভিযানে নামে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। ওইদিন বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরেই আটক করা হয় তাকে।

পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করে দুদক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসায় লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

শেয়ার করুন