করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় অল্প পরিমাণে কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে সোমবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। যা ১৮৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হারও।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৫৬ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কমেছে পাঁচ শতাধিক। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৯ জনে।
অন্যদিকে রোববারের তুলনায় সোমবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২৯৫ জন। অর্থাৎ গত এক দিনে প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে ১৪ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৩ জন।
এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে সোমবারও ভারতে বজায় রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে সোমবার দেশটিতে আরও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৩৮ জন মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৮১ জনে।
ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ (০.৯৫%) বর্তমানে সক্রিয় রোগী। রোববারের তুলনায় সোমবার এই হার কমেছে এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এই হার সর্বনিম্ন। এদিকে ভারতে সুস্থতার হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
অন্যদিকে, রোববার ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ২ শতাংশের নিচে নামলেও সোমবার তা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে গত ২১ দিন ধরে দেশটিতে এই হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।