প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে তার বাবা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু তাকে মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছেন।
আজ সোমবার রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলের স্কাই বলরুমে আয়োজিত ‘জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ড মাস্টারস দাবা প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশপ্রধান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি চৌধুরী নাফিজ সরাফত।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিল বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে যেখানে বিশ্বের উন্নত দেশের অর্থনীতি ধসে পড়েছে সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় ভাগ। করোনা না এলে জিডিপির হার আরও বাড়তো।’
আইজিপি বলেন, ‘আজকে আমাদের জন্য বিরাট ইভেন্ট। আমরা এমন একজন মহিয়সী নারী ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে সত্যিই গর্বিত। আমরা গত বছরও আয়োজন করেছিলাম। বিশ্বের ১০টি দেশের ৩০ জন খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশের ৩৪ জন খেলোয়াড়সহ মোট ৬৪ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।’
- আরও পড়ুন >> ‘সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব অপ্রত্যাশিত’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দেশকে একটি অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ ঋণ দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলার, সুদানকে দিয়েছে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলার। এরজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাই। ২০০৯ সালে ৪৫ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতেন। এখন নয় ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বসবাস করছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। দেশবাসী কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখছি প্রধানমন্ত্রীর মাঝে।’
তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা বলতাম বিদ্যুৎ আসবে কখন, এখন আমরা সেই কথা ভুলে গেছি। বাংলাদেশ ছিল বঞ্চনার দেশ, বাংলাদেশ ছিল রোগ ও শোকের দেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মাত্র ২৪ বছরের মধ্যে খালি গায়ের মানুষ, খালি পায়ের মানুষকে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। আজ দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত। বাঘা বাঘা অর্থনীতিদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এখন ডেভেলপমেন্টের ম্যাজিক ফিগারের দেশ হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, আগামী বছর থেকে স্কুল পর্যায়ে নতুন এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করতে দাবা লিগের প্রতিযোগিতা শুরু করবো। বাংলাদেশে তিনটি বড় খেলার কথা বললে দাবার কথা বলতে হয়। আমরা প্রথমবারের মতো জেলা পর্যায়ে দাবা লিগের আয়োজন করতে পেরেছি। আমরা এ বছর আরও তিন থেকে চারটি চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যবস্থা করেছি। অক্টোবরে আমরা শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আরও বড় পরিসরে একটি দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চাই।