অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আব্দুল মালেক এবং তার স্ত্রীর নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার অভিযোগপত্র অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল মালেক তার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে করে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে এবং তা ভোগদখলে রাখেন। অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
একইভাবে দুদকের তদন্ত প্রতিবদেন ড্রাইভার আব্দুল মালেকের স্ত্রীর বিষয়ে বলা হয়, নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে পারস্পারিক যোগসাজশে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
এদিকে গতকাল সোমবার অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া গাড়িচালক আব্দুল মালেকের দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলা করে র্যাব। মামলাগুলোয় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।