বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য আরও প্রায় ১৮ কোটি ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ সহায়তার কথা জানান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবিক সহায়তায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনসহ ভয়াবহ নৃশংসতা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা ১৫০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত নয় লাখ রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত পৌনে পাঁচ লাখ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ১২০ কোটি ডলারের বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের ওপর যে চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংকট মোকাবিলা ও সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিক আচরণ করেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া, রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা মোকাবিলায় দারুণ দক্ষতা দেখানোয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দূর করতে আরও সহায়তা প্রয়োজন এবং তার জন্য অন্যান্য দাতাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।