বিএনপির অন্যতম মিত্র হিসেবে পরিচিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওপর এবার ক্ষোভ ঝাড়লেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
রিজভী বলেন, ‘উনাকে (জাফরুল্লাহ চৌধরীকে) তো আমরা স্বৈরাচার এরশাদের দোসর হিসেবে জানতাম। স্বৈরাচারের দোসর জানতাম। তিনি এখন বক্তব্য দেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন। এরশাদের সাথে ওষুধনীতি নিয়ে কি দহরম মহরম করেছেন তা মানুষের জানা আছে। আজকে জাতির বিবেক হয়েছেন, কে কী করবে না করবে, কার কী করা উচিত সেটার মাত্রা ছাড়িয়ে সবক দিচ্ছন উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বর্ষিয়ান ব্যক্তি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। বয়স্ক ব্যক্তি কিন্তু সব নর্মসের বাইরে কথা বলবেন, তা হতে পারে না। তিনি মাঝে মাঝে বিএনপি ও বিএনপির নেত্রী সম্পর্কে এমন কথা বলেন যা সকল সভ্যতা, সুরুচির বাইরে চলে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বাইরে না মুক্ত সেটা তো অবশ্যই তার জানার কথা। খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন, এখন গৃহবন্দি। অনেক শর্ত আরোপ করে তাকে বাসভবনে রাখা হয়েছে। তিনি মুক্তভাবে কোথাও যেতে পারেন না। এখন তিনি মুক্ত হলে কোথায় যাবেন কীভাবে যাবেন সেটা তো তার সিদ্ধান্ত। এ দেশে দীর্ঘসময় তিনি বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার যে অসীম সাহসিকতা জাতি এটা কোনোদিন ভুলে যাবে না। আজও তিনি যে কারাবন্দির নির্যাতন সহ্য করছেন এটাও গণতন্ত্র উদ্ধারের বিশাল একটি সংগ্রামের অংশ। তাকে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে এটা গোটা জাতি জানে। সারা বিশ্ব জানে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘তারপরও জাফরুল্লাহ চৌধুরী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মাঝে মাঝে এমন মন্তব্য করেন যে মন্তব্যটা রুচিশীল নয়। মনে হয় কোনো শক্তিকে খুশি করার জন্য তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বৃহত্তম দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তিনি তার প্রজ্ঞা তার চিন্তাভাবনা এবং এই দেশের বর্তমান যে সঙ্কট সব কিছু বিশ্লেষণ করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আজ সব মহলের কাছে সমাদৃত।’
‘বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে এখন ইস্পাত কঠিন ঐক্য বিদ্যমান’, বলে মন্তব্য করেন রিজভী।