দুই শর্ত বেধে দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউজিসি
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে ১৭ মাস ধরে বন্ধ থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২টি শর্ত বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

শর্ত দুটি মেনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে নিজ ব্যবস্থাপনায় সশরীরে ক্লাস, পরীক্ষা ইত্যাদিসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারবে।

শুক্রবার ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট এর সিদ্ধান্তক্রমে নিজ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস, পরীক্ষা ইত্যাদিসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারক সংস্থাটির নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রমে যাওয়ার আগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণ অথবা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে।

দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। করোনায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এতদিন অনলাইনে ক্লাশ ও পরীক্ষা চালু রেখেছে। বিভিন্ন সেমিস্টারে শিক্ষার্থীও ভর্তি করেছে।

করোনার সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও মহামারী আবার বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এ বছর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাসে ফিরেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্যাম্পাস ও হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর একে একে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল খুলে দিতে পদক্ষেপ নেয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এক বৈঠকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খুলে দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রক্রিয়া হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করতেও বলেছে। এজন্য সরকার শিক্ষার্থীদের বয়স এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের শর্তও শিথিল করে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে।

২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আজ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম চালু করার অনুমতি মিললো।

শেয়ার করুন