মহামারি করোনাভাইরাসে ৪ মাস পর সর্বনিম্ন মৃত্যু দেখলো দেশ। একদিনে ভাইরাসটিতে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২৬ মে ১৭ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সময়ে কমেছে করোনায় দৈনিক শনাক্তের হার, তবে বেড়েছে শনাক্ত।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৯৮০ জন, যা গতকাল (শনিবার) ছিল ৮১৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ২৭ হাজার ৪১৪ জন। একই সময়ে ৯৮০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে করোনা আক্রান্ত রোগী মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১ জন। এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩১২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ১১ হাজার ৪৭৯ জন।
একদিনে করোনায় রোগী শনাক্তের হার নেমে এসেছে চার দশমিক ৪১ শতাংশে। আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
একই সময়ে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২১ হাজার ৭৭৫টি আর পরীক্ষা হয়েছে ২২ হাজার ২২১টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫০টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৫ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ সাত জন আর নারী ১৪ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৬০৫ জন আর নারী নয় হাজার ৮০৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, একদিনে মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চার জন, রাজশাহী বিভাগের দুই জন, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে আর সিলেট বিভাগের আছেন তিন জন। ২১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে চার জন।